দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) পর্যন্ত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের এবং স্বতন্ত্রসহ ৮৩ জন প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এরমধ্যে কিছু প্রার্থীকে একাধিকবার শোকজ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ থেকে ২০ জনের বিষয়ে ইসিতে প্রতিবেদন দিয়েছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।
মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের আইন শাখার উপ-সচিব মো. আব্দুছ সালাম এই তথ্য জানান। তিনি জানান, মাঠ পর্যায়ের সকল তথ্য বিশ্লেষন করলে আচরনবিধি লঙ্ঘনের পরিমান আরো বেশি আসবে।
নির্বাচনী আচরণবিধি পর্যবেক্ষণের জন্য গত ২৮ নভেম্বর বিচার বিভাগীয় নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে ইসি। এরপর থেকেই বিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগে বিভিন্ন প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ বিচার বিশ্লেষণ করে আমলে নিচ্ছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।
অনুসন্ধান কমিটির শোকজের তালিকায় আছেন সংসদ সদস্য, মন্ত্রী, সিটি মেয়রসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। ওই তালিকায় রয়েছেন সাকিব আল হাসান, শামীম ওসমান, গোলাম দস্তগীর গাজীসহ আরও অনেকে। নির্বাচন কমিশন থেকে একের পর এক ‘কঠোর’ হুঁশিয়ারি বার্তা দেওয়া হলেও নির্বাচনী আচরণবিধির বিষয়টি অনেক প্রার্থীই আমলে নিচ্ছেন না।
এদিকে, মঙ্গলবার বিকেলেও নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অপরাধে নওগাঁ-২ আসনের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট শহিদুজ্জামান সরকার বাবলু ও একই আসনের জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট তোফাজ্জল হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি। ওই দুইজনকে আলাদা পত্রের মাধ্যমে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।
নওগাঁ-২ আসনের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান সিনিয়র সহকারী জজ মোঃ আহসান হাবিব বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ৩০ নভেম্বর তারিখে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সংসদ সদস্য শহিদুজ্জামান সরকারের উপস্থিতিতে দলীয় নেতাকর্মীরা মটোরসাইকেল শোডাউন করে। আর ৩ ডিসেম্বর থেকে কয়েকদিন জাতীয় পার্টি প্রার্থী অ্যাডভোকেট তোফাজ্জাল হোসেনের লোকজন রঙ্গিন ব্যানার ফেস্টুন লাগিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন। তা বিভিন্ন গণমাধ্যমসহ বেশ কিছু জায়গায় উঠে আসে। যা নির্বাচনী আচরবিধিমালার ২০০৮ এর ৬ (ঘ) ও ১২ নং বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।