আদালতে লিখিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ। ব্যাখ্যায় ভুল স্বীকার করে আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে তিনি তার লিখিত ব্যাখ্যা উপস্থাপন করেন। সবুজের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মকিবুল ইসলাম লাভলু এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আদালতে দেওয়া ব্যাখ্যায় সবুজ ভুল স্বীকার করেছেন এবং আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমতা চেয়েছেন।
এর আগে শনিবার (২ ডিসেম্বর) পাবনার চাটমোহরে এক পথসভায় ‘পাবনা-৩ আসনে মকবুল হোসেন চাচা ছাড়া কেউ ভোট করতে পারবেন না। যারা নৌকার বিপক্ষে অবস্থান করবেন, আমরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলাম’ এমন বক্তব্য দেন ছাত্রলীগ সভাপতি সবুজ।
পরের দিন বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের পর নজরে আসে আদালতের। পরে স্ব-প্রণোদিত হয়ে ‘নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা ভঙ্গের কারণে কেন সবুজের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না’ তা জানতে চেয়ে তলব করে নোটিশ দেন আদালত।
পাবনা-৩ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধানী কমিটির সদস্য, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ তাজউল ইসলাম সোমবার (০৪ ডিসেম্বর) সকালে তলবের নোটিশ জারি করেন। মঙ্গলবার সবুজকে সশরীরে অথবা তার প্রতিনিধির মাধ্যমে লিখিত জবাব দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি পাবনা জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ।
এদিকে আদালত সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রলীগ সভাপতির ব্যাখ্যা পাওয়া গেছে। সেটি নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হবে। সেখান থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।