আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমরা চীন সফরে যাচ্ছি। চীনের সঙ্গে আমাদের উন্নয়নে পার্টনারশিপ রয়ছে। ভারত বাংলাদেশের রাজনৈতিক বন্ধু, চীন উন্নয়নের বন্ধু। শনিবার (৬ই জুলাই) দুপুরে রাজধানীর বেইলী রোডে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সাত দিনব্যাপী পাহাড়ি ফলমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, কর্ণফুলীর তলদেশে সেতু, পদ্মা সেতু, ঢাকা-চট্টগ্রাম ৪ লাইন কনন্সট্রাকশন চীনারা করেছে। মেট্টোরেলের জন্য জাপান সহযোগিতা করেছে। উন্নয়নের জন্য যেখানে আমি সুবিধা পাবো সেটা আমি কেন নেব না? আমারতো সাহায্য দরকার আছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি চুক্তির বাস্তবায়ন সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, জটিল ভূমি সমস্যার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়িত হতে সময় লাগছে। বিভিন্ন সমস্য বিদ্যমান থাকলেও পার্বত্য চট্রগ্রামের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। সেই সাথে বাংলাদেশের অন্যান্য এলাকায় যোগাযোগের ক্ষেত্রে যে উন্নয়ন হয়েছে, পার্বত্য চট্রগ্রামেও তা হয়েছে।
বান্দরবান, রাঙ্গামাটি বদলে গেছে উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, আজকে আমাদের পাহাড়ি এলাকায় সীমান্ত সড়ক হচ্ছে। সেনাবাহিনী এই কাজটা করছে। শেখ হাসিনা থাকলে আপনাদের সব সমস্যার সমাধান হবে, এটা আমি বিশ্বাস করি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সিঙ্গাপুরের মার্কেটে যে ফল দেখি, তার চেয়েও উন্নতমানের ফল আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রামে হয়। এরকম আম আমি সিঙ্গাপুরেও দেখিনি। আগে একমাত্র আনারসই সেখানে উৎপাদন হতো। বাইরে আসার অপেক্ষায় অনেক ফল পচে যেতো। কারণ, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো ছিল না। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে এমন সুমিষ্ট ফল ঢাকায় চলে আসে। চট্টগ্রামে চলে আসে প্রতিদিন। এটা এক বিরাট সাফল্য এবং উন্নয়নের এক অভূতপূর্ব দৃশ্য, এটা স্বীকার করতে হবে।