ব্রাহ্মবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোর্শেদ কামালের অনিয়মে চলছে চান্দুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।এমন অভিযোগ উঠেছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোর্শেদ কামালের বিরুদ্ধে।
মোর্শেদ কামালের বিরুদ্ধে রোববার (২৬নভেম্বর)বিকেলে ব্রাহ্মবাড়িয়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের প্রধান কর্মকর্তা বরাবর এলাবাসীর পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
স্বনামধন্য প্রাচীনতম বিদ্যাপীঠ ১৯৩৬ খ্রি: স্থাপিত বিদ্যালয়টি দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সাথে এ অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের শিক্ষার আলো ছড়িয়ে আসছে।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, উক্ত প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোর্শেদ কামাল বিদ্যালয়ে গত ২২-০৮-২০২২ইংতারিখে দায়িত্ব গ্রহণে করেন।এর পর থেকে পরীক্ষার ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি আদায়, কোচিং বাণিজ্য,নিয়ম বহির্ভূত ভাবে স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য নিয়োগসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠে।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য,সরকারি নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করেই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোর্শেদ কামাল ষষ্ঠ,সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের সকাল ৯ টা থেকে ক্লাস শুরু করে দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে ছুটি।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ২শাখা থেকে পাঠানো অনুলিপিতে বলাহয়েছে।সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালযয়ের পরিচালনা কমিটির সদস্য আইনানুগভাবে এভিডেভিট/নোটারী গ্রহণ যোগ্য নয়।ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবক হবেন কমিটির বিদ্যুৎসাহী ও অভিভাবক সদস্য।
কোন খুঁটির জোরে মোর্শেদ কামাল নিয়ম বহির্ভূত ভাবে তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টোকে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য এখনো রেখেছেন।পরীক্ষার অতিরিক্ত ফি আদায়সহ আরো একাধিক অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।
অভিযোগে আরোও জানা যায,এ বিষয়ে বিজয়নগরে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার(ভারপ্রাপ্ত)মো:মানিক ভূঁইয়া চুপ থাকায় মোর্শেদ কামাল অনিয়ম করার সুযোগ পাচ্ছেন।কারণ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টোর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে মানিক ভূঁইয়াকে অবগত করার পরও কোন ব্যবস্থা নেইনি।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: সামসুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, চান্দুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালযয়ের বিষয়টি কিছুদিন আগে সোনারবাংলা৭১.কমসহ কয়েকটি সংবাদে আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে।এছাড়াও আজ লিখিত অভিযোগ পেয়েছি অতি দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।