জয়পুরহাটের হিচমী বাইপাস সড়কের পাশ থেকে স্বামী পরিত্যক্ত আনোয়ারা (৪০) নামে এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) সকালে জয়পুরহাট সদর উপজেলার হিচমী-পুরানাপৈল বাইপাস সড়কের হিচমী ড্রিমস কিচেন এলাকায় সড়কের পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার হয়। নিহত নারীর পাশে একটি ভ্যানটি ব্যাগ ও এক জোড়া জুতা ছিল। ভ্যানটি ব্যাগের ভেতর পাওয়া মুঠোফোনের সূত্র ধরে তাঁর পরিচয় মিলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত আনোয়ারা বেগম (৪০)। দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার সাতআনা আলীরহাটের আদর্শ গ্রামে বসবাস করতেন।
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার সড়াইল গ্রামে তাঁর বাবার বাড়ি। আনোয়ারা বেগমের শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন নেই। পুলিশের ধারণা, আনোয়ারা বেগমকে অন্য কোন স্থানে মৃত্যু হয়েছে। কেউ তাঁকে এখানে ফেলে গেছেন বলে পুলিশের প্রাথমিক ধারণা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকালে হিচমী-পুরানাপৈল বাইপাস সড়কের হিচমী ড্রিমস কিচেনের এলাকায় সড়কে পাশে এক নারীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। লাশের পাশে একটি ভ্যানিটি ব্যাগ ও একজোড়া জুতা পড়ে ছিল। স্থানীয় লোকজন ৯৯৯ কল করে ঘটনাটি জয়পুরহাট সদর থানা পুলিশকে জানায়। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে জয়পুরহাট সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে মরদেহ উদ্ধার করেছে।
নিহতের মা মজিদা বেওয়া বলেন, মেয়ে ও জামাই ঢাকাতে গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। সেখানে প্রায় ৭ বছর আগে তাদের তালাক হয়। আনোয়ারা দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার সাতআনা আদর্শ গ্রামে বসবাস করতেন। গত ১২ নভেম্বর মুঠোফোনে আনোয়ারা তার মাকে জানায়, সকাল ১০টায় চিকিৎসার জন্য জয়পুরহাটে রওনা দেয়। এরপর ওই দিন বিকালে মুঠোফোনে চিকিৎসা ভাল হচ্ছে বলে জানায়। এরপর থেকে তার সাথে আর যোগাযোগ হয়নি। ১৫ নভেম্বর সকালে পুলিশ তাকে ফোন দিয়ে জানায় তার মেয়ের লাশ সড়কের পাশে পড়ে আছে। খবর পেয়ে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের মর্গে এসে মেয়েকে সনাক্ত করেন।
জয়পুরহাট সদর থানার উপপরির্দশক (এসআই) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, সড়কের পাশে এক নারীর মরদেহ পাওয়া গেছে। লাশের পাওয়া ভ্যানিটি ব্যাগে মুঠোফোন ও আয়না ছিল। মুঠোফোনে সূত্র ধরে ওই নারীর নাম আনোয়ারা বেগম জানা গেছে। তিনি স্বামী পরিত্যক্তা ছিলেন। আনোয়ারা বেগম অন্য কোথাও মারা গেছেন। পরে কেউ তাঁকে সড়কের পাশে ফেলে গেছেন। আনোয়ারার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে নেওয়া হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে জানা যাবে মৃত্যুর কারণ।