ঢাকা ০৫:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দাফনের কেউ নেই, ‘মরদেহ খাচ্ছে কুকুরে’

ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজায়। জ্বালানি সংকটে বন্ধ হয়ে গেছে হাসপাতাল। বেশি সংকটে আল-শিফা হাসপাতালের রোগী ও তার স্বজনরা। দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, ইসরায়েলি হামলার ভয়াবহার কারণে হাসপাতালের সামনে পড়ে থাকা মরদেহ দাফনে সাহস পাচ্ছে না কেউ। আরও সেইসব লাশ কামড়ে কামড়ে খাচ্ছে কুকুরে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার পক্ষ থেকে সোমবার (১৩ নভেম্বর) গাজার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা মুনির আল-বুরসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

মুনির আল-বুরস বলেন, হাসপাতালে মরদেহ পড়ে থাকলেও দাফনের মানুষ নেই। নেড়ি কুকুর এসে সেই মরদেহ কামড়ে খাচ্ছে।

সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই বলছে, বন্ধ হয়ে যাওয়া হাসপাতালগুলোর মধ্যে আল-শিফার অবস্থা ভয়াবহ। হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান আহমদ মুখাল্লাদি বলেন, হাসপাতালে কোনো পানি নেই। বিদ্যুৎ নেই অনেক আগে থেকেই। খাবারও শেষ হয়ে গেছে।

গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় এক হাজার ৪০০ ইসরায়েলি নিহত হন। হামলার পর থেকে গাজায় অব্যাহত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এতে ১১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

ট্যাগ:

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সেভ রাখুন

সংবাদ প্রকাশকের তথ্য

দাফনের কেউ নেই, ‘মরদেহ খাচ্ছে কুকুরে’

আপডেট সময় ১০:২০:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩

ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজায়। জ্বালানি সংকটে বন্ধ হয়ে গেছে হাসপাতাল। বেশি সংকটে আল-শিফা হাসপাতালের রোগী ও তার স্বজনরা। দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, ইসরায়েলি হামলার ভয়াবহার কারণে হাসপাতালের সামনে পড়ে থাকা মরদেহ দাফনে সাহস পাচ্ছে না কেউ। আরও সেইসব লাশ কামড়ে কামড়ে খাচ্ছে কুকুরে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার পক্ষ থেকে সোমবার (১৩ নভেম্বর) গাজার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা মুনির আল-বুরসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

মুনির আল-বুরস বলেন, হাসপাতালে মরদেহ পড়ে থাকলেও দাফনের মানুষ নেই। নেড়ি কুকুর এসে সেই মরদেহ কামড়ে খাচ্ছে।

সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই বলছে, বন্ধ হয়ে যাওয়া হাসপাতালগুলোর মধ্যে আল-শিফার অবস্থা ভয়াবহ। হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান আহমদ মুখাল্লাদি বলেন, হাসপাতালে কোনো পানি নেই। বিদ্যুৎ নেই অনেক আগে থেকেই। খাবারও শেষ হয়ে গেছে।

গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় এক হাজার ৪০০ ইসরায়েলি নিহত হন। হামলার পর থেকে গাজায় অব্যাহত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এতে ১১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।