ঢাকা ০২:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘বাংলাদেশের সাথে মুক্ত বাণিজ্যে আগ্রহী চীন’

চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলছেন, চীন বাংলাদেশের সাথে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করতে আগ্রহী। এই চুক্তি সম্পাদিত হলে দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের পাশাপাশি বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ আরো বৃদ্ধি পাবে।

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন মন্ত্রণালয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর অফিস কক্ষে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে আসলে এসব কথা জানান তিনি। 

বাণিজ্যমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলছেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে ২০২৬ সালে উত্তরণের পর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখমুখি হবে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে এবং কৌশল নির্ধারণে কাজ করছে। বিভিন্ন দেশ ও আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থাগুলোর সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) এবং অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি বা প্রেফারেন্সিয়াল ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট-পিটিএ করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

 আহসানুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাট ও চামড়া খাতের উন্নয়নে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পাট ও চামড়া শিল্পের উন্নয়নে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশে সারাবছর প্রচুর পশুর চামড়া সংগৃহিত হয়। যথেষ্ট লজিস্টিক সাপোর্ট না থাকায় এগুলো দ্রুত প্রসেসিং করা সম্ভব হয় না। যার ফলে নষ্ট হয়ে যায়। চামড়া খাতকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ সরকার চামড়াজাত শিল্পের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করেছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাট ও পাটজাত পণ্য উৎপাদনে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছে। অভ্যন্তরীণ বাজার ব্যবস্থাপনার উন্নতি করে ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে পাটজাত পণ্য রপ্তানি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। পাটজাত পণ্যকে ২০২৩ সালের ‘বর্ষ পণ্য’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পাট ঐতিহ্যগতভাবেই দেশীয় সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে আছে। পাট থেকে তৈরি সব পণ পরিবেশবান্ধব ও ব্যবহার উপযোগী।

আহসানুল ইসলাম জানান, করোনা মহাসংকট এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর ইজরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী পণ্য সরবরাহ ব্যাঘাত ঘটছে। ফলে পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। পৃথিবীর সকল দেশ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।

ট্যাগ:

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সেভ রাখুন

সংবাদ প্রকাশকের তথ্য

‘বাংলাদেশের সাথে মুক্ত বাণিজ্যে আগ্রহী চীন’

আপডেট সময় ০৭:২৬:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৪

চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলছেন, চীন বাংলাদেশের সাথে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করতে আগ্রহী। এই চুক্তি সম্পাদিত হলে দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের পাশাপাশি বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ আরো বৃদ্ধি পাবে।

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন মন্ত্রণালয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর অফিস কক্ষে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে আসলে এসব কথা জানান তিনি। 

বাণিজ্যমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলছেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে ২০২৬ সালে উত্তরণের পর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখমুখি হবে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে এবং কৌশল নির্ধারণে কাজ করছে। বিভিন্ন দেশ ও আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থাগুলোর সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) এবং অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি বা প্রেফারেন্সিয়াল ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট-পিটিএ করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

 আহসানুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাট ও চামড়া খাতের উন্নয়নে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পাট ও চামড়া শিল্পের উন্নয়নে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশে সারাবছর প্রচুর পশুর চামড়া সংগৃহিত হয়। যথেষ্ট লজিস্টিক সাপোর্ট না থাকায় এগুলো দ্রুত প্রসেসিং করা সম্ভব হয় না। যার ফলে নষ্ট হয়ে যায়। চামড়া খাতকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ সরকার চামড়াজাত শিল্পের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করেছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাট ও পাটজাত পণ্য উৎপাদনে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছে। অভ্যন্তরীণ বাজার ব্যবস্থাপনার উন্নতি করে ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে পাটজাত পণ্য রপ্তানি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। পাটজাত পণ্যকে ২০২৩ সালের ‘বর্ষ পণ্য’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পাট ঐতিহ্যগতভাবেই দেশীয় সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে আছে। পাট থেকে তৈরি সব পণ পরিবেশবান্ধব ও ব্যবহার উপযোগী।

আহসানুল ইসলাম জানান, করোনা মহাসংকট এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর ইজরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী পণ্য সরবরাহ ব্যাঘাত ঘটছে। ফলে পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। পৃথিবীর সকল দেশ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।